• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন |

নীলফামারী-৩ আসন: নির্বাচন থেকে সরে গেলেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী

সিসি নিউজ।। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আননে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেলেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার টেঙ্গনমারী বাজারের একটি অনানুষ্ঠানিক পথসভায় তারা ওই ঘোষণা দেন।
তারা হলেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামিম (মেড়া) এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হুকুম আলী খান (ট্রাক)। নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে গিয়ে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানার ঈগল প্রতীকে সমর্থন জানান তাঁরা। উক্ত মার্জিয়া সুলতানা ওই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী।
আসনটিতে এবারে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। একই আসনে স্বতন্ত্র (আ. লীগ দলীয়) প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাঁর স্ত্রী জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মার্জিয়া সুলতানা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামিম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহাবায়ক হুকুম আলী খান ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল। রির্টানিং কর্মকর্তার যাচাই বাছাইয়ে মার্জিয়া সুলতানার মনোনয়ন বাতিল হলে নির্বাচন কমিনে আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পান।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আসনটি জাতীয় পাটিকে ছেড়ে দেওয়া দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রতাহার করেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। তিনি প্রত্যাহার করলেও মাঠে থেকে যান দলের চার স্বতন্ত্র প্রার্থী।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ শামিরে টেঙ্গনমারী বাজারের বাসভবনে দলের কিছু নেতাকর্মীর উপস্থিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ শামিম, মার্জিয়া সুলতানা, হুকুম আলী খান ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ওই বাসভবনের সামনে এসে মার্জিয়া সুলতানাকে সমর্থন জানিয়ে আবু সাঈদ শামিম ও হুকুম আলী খান নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। দুই প্রার্থীর নির্বাচনরে মাঠ থেকে সরে যাওয়া ঘোষণার পর এখন মাঠে রইলেন সাদ্দাম হোসেন পাভেল (কাঁচি) এবং মার্জিয়া সুলতানা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ শামিম (মোড়া) বলেন, ‘জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ঐক্যের জন্য আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি’। এসময় মার্জিয়া সুলতানার ঈগল প্রতীকে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
অপরদিকে হুকুম আলী খান (ট্রাক) বলেন, ‘দলের এবং এলাকার বৃহৎ স্বার্থে আমরা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার সহধর্মীনীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালাম’।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একাধিক প্রার্থী ছিল। আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে, দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে ও ঈগল পাখির বিজয়ে স্বার্থে, নির্বাচনে জয়ের স্বার্থে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামিম ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হুকুম আলী খান নির্বচন থেকে সরে এসেছেন। তাঁরা মার্জিয়া সুলতানাকে সমর্থন দিয়েছেন। তাঁদের সমর্থনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হলো’।
আসনটিতে আট প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পাটির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল (লাঙ্গল)। তাঁর বিপরীতে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য জেলা জাতীয় পাটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য কাজী ফারুক কাদের (কেতলী)। অপর প্রার্থীরা হলেন, তৃণমুল বিএনপির খলিলুর রহমান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বাদশা আলমগীর (হাতঘড়ি)।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

আর্কাইভ